প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এর কাছ থেকে দু’টি মাহেন্দ্র পিক আপ গাড়ি গ্রহণ করেছে কক্সবাজার পুলিশ । শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আইওএম বাংলাদেশের প্রধান মি. শরৎ দাশ গাড়ি দুটি কক্সবাজার পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি) ড. একেএম ইকবাল হোসেনের উপস্থিতিতে চট্টগ্রামের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. এসএম মনিরুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেন। আইওএম বাংলাদেশের কক্সবাজার হেড অব সাব অফিস মিস সানযুক্তা সাহানিসহ উভয় পক্ষের অন্যান্য কর্মকর্তাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয় যাতে তাদের নিরাপত্তা কার্যক্রম আরো যথাযথভাবে পরিচালনা করতে পারে সেই লক্ষ্যে এই সহায়তা প্রদান করা হয়। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ড. মনিরুজ্জামান বলেন, “আইওএমের এই সহায়তার জন্য আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। এই প্রথমবার কোন সংস্থা পুলিশের জন্য এমন সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসলো। এই সহায়তা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আমাদের নিরাপত্তা টহল জোরদার করতে সাহায্য করবে। বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য পরিচালিত আমাদের সার্বিক সমন্বয় কর্মকান্ডের উন্নয়নেও কাজে লাগবে এই অনুদান। ক্যাম্পে তাদের নিরাপত্তা জোরদার করতেও এই সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।”

অনুষ্ঠানে মি. দাশ বলেন, “আইওএম সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সহায়তা করায় বিশ্বাস করে। সামান্য হলেও এই সহায়তা আসলে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপনের একটি উপলক্ষ্য।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ প্রশাসন ও আইওএম – এর মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের যে দৃঢ় ভিত্তি তাতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে এই অবদান মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্য গৃহীত আমাদের যৌথ উদ্যোগগুলোকে সাহায্য করবে।

ড. হোসেন বলেন, “কক্সবাজারের সব আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আইওএম – এর সহযোগিতা ও এখানে আইওএম বাস্তবায়িত বিভিন্ন কার্যক্রমের আন্তরিক প্রশংসা করি আমরা।”

প্রসঙ্গত; ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমার শরনার্থী ও অনিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিক সংক্রান্ত জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়নের পর থেকেই আইওএম কক্সবাজারে বসবাসকারী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে যাচ্ছে।